ওয়াইফাই এর ভয়ংকর ক্ষতি সম্পর্কে জানুন !

আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু ” ওয়াইফাই এর ক্ষতিকর দিক “,আমরা জানি স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। ভাল থাকতে হলে আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং সাথে সাথে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্বাস করে বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানার আগ্রহ থাকতে হবে। কে এফ প্ল্যানেট টিম ব্যাক্তি স্বার্থ না দেখে আপনাদের জন্য স্বাস্থ্য যত্ন বিভাগ  চালু করেছে যেখানে আপনি স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস পাবেন।

আমরা উন্নয়নশীল দেশে বাস করি। আমাদের লাইফ স্টাইল তুলনামূলক ভাবে অস্বাস্থ্যকর এবং অপরিকল্পিত। তাছাড়া আমাদের দেশের আইন-নিয়ম নীতি যথেষ্ট প্রশ্ন বিদ্ধ। সব বাঁধা পেরিয়ে আমরা উন্নয়ের দিকে যেতে চাচ্ছি। ফলে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে  সবখানে। আর এখানেও বিপত্তি,আমাদের অতি আবেগি মন বা অজ্ঞতা আমাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। আজকের আলোচনার বিষয় এমনি এক প্রযুক্তি নিয়ে যার অতিব্যাবহার, অপব্যাবহার জীবনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকি,চলুন গভীরে যেয়ে কিছু বিজ্ঞান জেনে আসি।

বর্তমানে   ইন্টারনেট ব্যাবহারের সহজ এবং খরচ কমের প্রধান উৎস হলো ওয়াইফাই আর এই ওয়াইফাই এর জনক বা আবিষ্কারক ডাচ কম্পিউটার বিজ্ঞানী ভিক্টর ভিক হেরেস । Wi-Fi এর পূর্ণরূপ কি জানেন, Wireless Fidelity. যখন আমরা  Wi-Fi  অন করি তখন ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিভ রেডিয়েশন ছাড়তে থাকে ওয়াইফাই রাউটার। তরঙ্গ চলাচল  > ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড > ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন। সারাদিনই থেকে যাওয়া ওয়াইফাই রেডিয়েশন আমাদের জীবনে কি কি ভয়ংকর ক্ষতি করতে পারে তার একটা চার্ট দেয়া হলোঃ

  • অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
  • মাথা ঘোরা ও মাথা ব্যাথা
  • অমনোযোগিতা
  • হজমে সমস্যা
  • বাচ্চাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত
  • উদ্বেগ বা বিষণ্নতা
  • অত্যধিক ক্লান্তি
  • শুক্রাণু প্রতিহত করে পুরুষত্ব বিলীন করে।
  • নারীদের কর্মশক্তি কমে যাওয়া।
  • মস্তিষ্কের কাজে বাধা দেয়, ব্রেন টিউমার হতে পারে।
  • ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
  • চোখের দৃষ্টি ঘোলা, শ্রবণ শক্তি কমে যাওয়া।
  • স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি
  • হৃদরোগ

সম্প্রতি ডেনমার্কে  একটি  গবেষণা  হয়েছে। ড্যানিশ ছাত্র  400 টা বীজ নিয়ে পরীক্ষা করে এবং দুই কক্ষের মধ্যে তাদের বিভক্ত করে। এক কক্ষে ২০০ টি আর অন্য কক্ষে ২০০ টি বীজ রখা হয়। প্রথম কক্ষে একটি ভাল ইন্টারনেট যুক্ত একটি ওয়াইফাই স্থাপন করে। কিন্তু কিছু দিন পর দেখা গেলো, ইন্টারনেট যুক্ত  ওয়াইফাই কক্ষের বীজগুলা অঙ্কুরোদগম হয় নি অপর পক্ষে ২য় রুমের বীজগুলা স্বাভাবিক ভাবে  অঙ্কুরোদগম হয়েছিলো।

তাই অপ্রয়োজনীয় কারণে রাউটার ও ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়া যে যা করবেনঃ

  1. মোবাইলের হটস্পট কাজ শেষেই অফ করে রাখবেবন।
  2.  ২৪ ঘণ্টা রাউটার অন করে রাখবেন না। দরকারের সময় বাদে অন্য সময় অফ রাখুন।
  3. যথাযম্ভব ক্যাবল নিয়ে নেট চালান অথবা মোবাইলের সিম নেট চালান।
  4.  বিশেষ করে বেড রুমে রাউটার সেটআপ করবেন না।

Sources:

Safespaceprotection.com

Prevention.com

আমরা নিচের বিষয়সমূহ আমাদের স্বাস্থ্য যত্ন বিভাগে প্রকাশ করে থাকিঃ 
ওয়াইফাই এর ক্ষতিকর দিকওয়াইফাই এর ভয়ংকর ক্ষতি,স্বাস্থ্য টিপস,স্বাস্থ্য সচেতনতা,স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়, স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস, স্বাস্থ্য বাংলা, স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ, স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্ন, স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য,স্বাস্থ্য তথ্য হেলথ টিপস,ওয়াইফাই এর জনক কে, wifi এর পূর্ণরূপ কি,নীরব ঘাতক ওয়াইফাই,ওয়াইফাই রাউটারের ভয়ংকর দিক,wifi radiation bad for health

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেনঃ kfsoft@yahoo.com যে কোন প্রয়োজনেঃ kfplanetbd@gmail.com