সাধারণভাবে বলতে গেলে, কাশি পুরোপুরি স্বাভাবিক। কাশি আপনার গলা কফ এবং অন্যান্য জ্বালা থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তবে, স্থায়ী কাশি বিভিন্ন এলার্জি, যেমন একটি অ্যালার্জি, ভাইরাল সংক্রমণ বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের মতো লক্ষণগুলির লক্ষণ হতে পারে । সর্দি, এলার্জি এবং সাইনাসের সংক্রমণের কারণে কাশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এনং ওষুধ খেতে পারেন । ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হবে। যাইহোক, যারা ওষুধ এড়িয়ে চলা পছন্দ করেন তাদের জন্য, আমরা কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার তালিকাবদ্ধ করেছি যা আপনাদের কাশি নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে।
ঠান্ডা কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা
১।মধুঃমধু গলা ব্যথার জন্য অন্যতম প্রতিকার। বিশ্বস্ত উৎস অনুসারে এক সমীক্ষা অনুসারে এটি প্রমাণিত কাশি প্রশমিতকারী হিসাবে ওষুধের চেয়ে মধু বেশি কার্যকর ।
ভেষজ চা বা হালকা গরম জল এবং লেবুর সাথে 2 চা চামচ মধু মিশিয়ে আপনি বাড়িতে নিজের প্রতিকার তৈরি করতে পারেন। আপনি কেবল চামচ দিয়ে মধু খেতে পারেন বা একটি নাস্তার জন্য রুটিতে এটি ছড়িয়ে দিতে পারেন।
২।ব্রোমেলিনঃ আপনি কখোনোই আনারসকে কাশির প্রতিকার হিসাবে সাধারণত ভাবেন না, তবে সম্ভবত আপনি ব্রোমেলিনের কথা শুনে নি। ব্রোমেলিন – এমন এক এনজাইম যা কেবল আনারসের কাণ্ড এবং ফলে পাওয়া যায় – এটি প্রমাণ করার মতো অনেক তথ্য রয়েছে যে এগুলি কাশি দমন করার পাশাপাশি আপনার গলার শ্লেষ্মা আলগা করতে সহায়তা করতে পারে। আনারস এবং ব্রোমেলিনের সর্বাধিক উপকার উপভোগ করার জন্য, আনারসের এক টুকরো খান বা দিনে তিনবার আনারসের 3.5 আউন রস পান করুন।
এমনও দাবি করা হচ্ছে যে এটি সাইনোসাইটিস এবং অ্যালার্জি ভিত্তিক সাইনাস সম্পর্কিত সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করতে পারে,যা কাশি এবং শ্লেষ্মার সমস্যার জন্য অবদান রাখতে পারে।
৩।দুধ ও হলুদ : দুধ যে কোনো বয়সের জন্যই সমান উপকারী। এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। হলুদে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা সহজেই সংক্রমণ রোধ করে। ফলে সর্দি-কাশির কষ্ট থেকেও রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়।
৪। বাসক পাতা : বাসক পাতা পানিতে সেদ্ধ করে, সেই পানি ছেঁকে নিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় খেলে কাশি উপশম হয়। দৈনিক সকালে এই পানি খেতে হবে। বাসক পাতার রস প্রতিদিন সন্ধ্যায় খেলে ভালো। ২-৩ দিনেই এর খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। তেতোভাব কমাতে রসের সাথে সামান্য চিনি মেশাতে পারেন।
৫।তুলসী পাতা : তুলসী পাতা থেঁতো করে এতে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করতে হবে। এই মিশ্রণটি দৈনিক ২/৩ বার খেলে কাশি ভালো হয়।
৬।আদা : আদা ছোট ছোট টুকরা করে তার সাথে লবণ মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ পর পর খেতে হবে। এই পদ্ধতি কাশি দূর করতে বেশ কার্যকরী। তাছাড়া আদা চা করে খেলেও কাশিতে উপকার পাবেন।
৭।লবন পানি গার্গলঃ প্রতিকারটি তুলনামূলক সহজ বলে মনে হলেও লবণ এবং পানির গার্গল চুলকানির গলা প্রশমিত করতে সহায়তা করে যা আপনাকে কাশি দেয়। ১ আউন্স গরম পানিতে ১/৪ থেকে ১/২ চা চামচ লবণের মিশ্রণ জ্বালা উপশম করতে সহায়তা করে।
৮।রসুন : এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা সর্দি-কাশির মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান রয়েছে, যা সংক্রমণ রুখতে পারে।
কাশি থেকে নিরাময়,কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা,শিশুর কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা,বাচ্চাদের কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা,কাশির ঔষধের নাম,কাশির ঔষধ ট্যাবলেট,কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা কি,শিশুর কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা,সর্দি কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা,
ঠান্ডা কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা,কফ কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা,কাশি হলে ঘরোয়া চিকিৎসা,শিশুদের সর্দি কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা,kfplanet.com,
Dear.sir.
I like to get all health related update information to my email.
thanks
জি পাবেন। আমাদের ফেসবুকে ঘোষণা আসতেছে।