১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম প্রাইজবন্ড চালু করে। বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক সঞ্চয়ের লক্ষে প্রবর্তিত এক প্রকার কাগুজে মুদ্রা পদ্ধতি হল প্রাইজবন্ড। আমরা আপনাদের সামনে আজ তুলে ধরব প্রাইজবন্ড কেনার নিয়ম, প্রাইজবন্ড রেজিষ্ট্রেশন ও এর সকল নিয়মাবলী।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাইজবন্ডের যাবতীয় নিয়ম ও কাজ করে থাকে ,তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ সব কাজ বাংলাদেশ ব্যাংক করে থাকে। বাংলাদেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রাইজবন্ড পাওয়া এবং ভাঙ্গানো যায়। একটি বিষয় মনে রাখবেন বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ছাড়া অন্য কোথাও প্রাইজবন্ড ক্রয়-বিক্রয় করা আইনত অপরাধ। প্রতি বছরে চার বার প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাইজবন্ড কেনার নিয়ম
প্রাইজবন্ড কেনার জন্য কিছু নিয়ম কানুন আপনাকে মানতে হবে , এই নিয়মের বাইরে প্রাইজ বন্ড কিনতে পারবেন না । সকল নিয়ম গুলি আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে তুলে ধরা হল
প্রাইজবন্ড কেনার নিয়মঃ
প্রাইজবন্ড কেনার জন্য ধরা বাধা কোন নিয়ম নেই। যে কেউ চাইলে প্রাইজবন্ড কিনতে পারবেন । কিছু নিয়ম আছে , যেমন
- প্রাইজবন্ডের নিদিষ্ট কোন মালিক নেই , বন্ডের টিকিট যে ব্যক্তির কাছে থাকবে সেই বন্ডের মালিক বলে গণ্য হবে।
- প্রাইজ বন্ড কিনতে কোন প্রকার জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হয় না ।
- যে কোন ব্যক্তি বন্ড কিনতে পারবেন বয়সের কোন পরিসীমা নেই ।
- একজন ব্যক্তি যত টাকার প্রাইজ বন্ড কিনতে চান তত টাকার বন্ড দিবে।
- প্রাইজ বন্ডের পুরষ্কার টাকা তুলতে গেলে বন্ডের রশিদ, জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, নমিনি ও প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মাকর্তা কতৃক সনাক্তকারীর স্বাক্ষর লাগবে ।
- ড্র অনুষ্ঠানের দুই বছর পর্যন্ত পুরস্কারের টাকা দাবি করতে পারবেন । এই দুই বছরের মধ্যে কেউ দাবি না করলে পুরস্কারের সব অর্থ তামাদি হয়ে সরকারি কোষাগারে জমা হয়ে যাবে ।
প্রাইজ বন্ডের যে সব নিয়ম আছে আমরা চেষ্টা করেছি , আপনাদের খুব সুন্দর ভাবে দেখানো। উপরের যে আলোচনা গুলি করেছি মোটামুটি এই গুলিই প্রাইজ বন্ডের নিয়ম বলা যায়।
প্রাইজবন্ড রেজিষ্ট্রেশনঃ
সাধারণত শিশু সহ যে কোন বাংলাদেশী যে কোন পরিমাণ বন্ড কিনতে পারেন। এর জন্য কোন রেজিষ্ট্রেশন লাগে না।আপনি যেকোনো ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসের যেকোনো শাখায় প্রাইজ বন্ড ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারেন। প্রাইজ বন্ড ইস্যুর তারিখ হতে ড্র পর্যন্ত ৬০ দিন, ড্র করার যোগ্য।
প্রাইজবন্ড ড্র কখন হয়? প্রাইজবন্ড বছরে কতবার ড্র হয়?
প্রাইজবন্ড ড্র বছরে ০৪ বার হয়।প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩০ জুলাই এবং ৩১ অক্টোবর।
বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড চেকারঃ https://www.bb.org.bd
Ki vabe kinbo online a
বিস্তারিত লেখা আছে পোস্টের ভিতর।
Prize bond r Kono expire date asche ki?
সম্ভবত নাই।