রমজানে সুস্থ থাকতে করণীয় বা উপায় কি কি ধরনের হতে পারে, সেসব বিশেষজ্ঞ থেকে জেনে নিতে আমাদের পোস্টটা মনোযোগ সহকারে পড়ুন। মুসলিমদের কাছে রমাযান খুব গুরুত্বপুর্ণ মাসে ফলে সারা রমাজন জুড়ে সুস্থ্য থেকে ইবাদত বন্দেগি ও জীবিকা চালানো কঠিন হয়ে যায় ফলে প্রত্যকের রমজানে শরীর সুস্থ রাখার উপায় জানা অবশ্যই দরকার।
পবিত্র মাহে রমাজান মাসে সারাদিন সিয়াম, ইফতার ও রাতে ইবাদত করতে হয়। অন্য ১১ মাস থেকে এ মাস আলাদা হয়ে থাকে ফলে জীবনযাপনে আসে পরিবর্তন। সেহরি থেকে ইফতার ও দিনের বেলাতে কি নিয়ম মেনে চলে সুস্থ থাকা রাখা নিজের ও পরিবারের শরীরকে সেসব নিচে দেয় হলো।
খাবারের মাধ্যমে রমজানে শরীর সুস্থ রাখার উপায়
- সেহরিতে আশজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন লাল চাল, লাল আটা, শাকসবজি, বিচিজাতীয় সবজি, মোটরশুটি ইত্যাদি)
- সেহরিতে বেশি খাওয়ার মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে শাকসবজি এবং মাছ-মাংস ও অন্যান্য তরকারি গ্রহণ করতে হবে।
- প্রতিদিনের আমিষের চাহিদা পূরণে ও দেহের ক্ষয়পূরণে ছোট-বড় মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন
- রোজায় পানিশুন্যতা দেখা দেয় ফলে সহজে হজম হয়,এমন শাকসবজি যেমন লাউ, ও, পটোল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া প্রভৃতিকে অগ্রাধিকার দেয়া যেতে।
- সাহরিতে খাবারের পর টক ও মিষ্টি জাতীয় খাবার রাখলে ভালো হবে।
- ইফতারে পানীয় হিসেবে ঘরে তৈরি তাজা ফলের শর্বত, ডাবের পানি, তোকমা, ইসবগুল প্রভৃতি গ্রহণ করা যেতে পারে, যা দেহের পানি ও লবণের ভারসাম্য রক্ষা করতে ও কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধে কাজ করবে।
- সহজে হজম হয়_-এমন খাবার ইফতারে রাখা যেতে পারে (সিদ্ধ ছোলা, দই-চিড়া, সবজি খিচুড়ি বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং শসা- টমেটোর মিশ্রিত সালাদ প্রভৃতি)
- ইফতারে আমিষের চাহিদা পূরুণের জন্য ডিম বা ডিমের তৈরি খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে।
রমজানে সুস্থ থাকতে করণীয় কি কি
- সেহরিতে চা এবং কফি পান না করাই ভালো
- সেহরিতে অতিরিক্ত তেল, মসলা ও চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
- তেহারি, খিচুড়ি, বিরিয়ানি প্রভৃতি সেহরিতে না খাওয়াই ভালো । এসব খাবার হজম করতে দেহে প্রচুর পানি পরিশোধিত হয়, যা রোজাদারকে পিপাসা সৃষ্টি করবে।
-
যেকোনো মিষ্টি ফল যেমন : খেজুর, তরমুজ, কলা প্রভৃতি গ্রহণ করা যেতে পারে, যা দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করবে
- ইফতারে খাবার খেতে হবে খবীরে ও ভালোভাবে চিবিয়ে, যা খাবার সহজে হজমে সহায়ক হবে
- অধিক মসলা এবং কৃত্রিম রংযুক্ত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চললে ইফতার-প্রবর্তী বদহজম, অস্বস্তি ও অন্যান্য শারীরিক জটিলতা এড়ানো সম্ভব ।
- ইফতারে অতিরিক্ত ভাজা, পোড়া বা গ্রিল করা খাবার যেমন মাংসের ফ্রাই, গ্রিল, শিক কাবাব ইত্যাদি পরিহার করা প্রয়োজন। এসঅব খাবার থেকে ট্রান্সফ্যাক্টের কারণে হৃদরোগ, স্রোকসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী অসংক্রামক রোগ হতে পারে।