রমজানের রোজা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন উত্তম, তেমন শারীরিক সুস্থতার জন্য কার্যকরী একটি ব্যবস্থাপনা। এই অনুচ্ছেদে রোজা রাখার উপকারিতা কি কি সে গুলি তুলে ধরব। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা রমজানের রোজাকে ফরজ করার পাশাপাশি স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন- রোজা আমাদের জন্য কল্যাণকর তথা উপকারী। সিয়াম সাধনা বা রোজা শুধু আত্মিক উন্নতি সাধনই করে না, বরং মানসিক প্রশান্তি ও দৈহিক সুস্থতাও বয়ে আনে।নবীজী (সা.) বহু শতাব্দী পূর্বেই বলে গেছেন রোগের কেন্দ্রবিন্দু হল পেট, অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাস এড়িয়ে চলা রোগের আরোগ্যতা।
রোজা রাখার উপকারিতা কি কি
রোজা রাখার উপকারিতা কি কি এই নিয়ে আজ আমাদের অনুচ্ছেদ সাজানো হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সাহরি এবং ইফতারে পরিমিত খাবার খান। তারা শারীরিক ভাবে অনেক সুস্থ থাকে। অতি ভোজন এড়িয়ে চলেন, তারা রোজা রাখার ফলে শুধু শারীরিকভাবেই উপকৃত হন না, বরং মানসিকভাবেও প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা অনুভব করতে থাকেন। উপকারিতা নিচে দেওয়া হল
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
- পেশীশক্তি সংরক্ষণ করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে
- প্রদাহ দূর করে
- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে
- মানসিক স্বচ্ছতা দেয়
রোজা রাখার ফলে আপনার এই উপকার গুলি অজান্তে হয়ে থাকে, আপনি এই উপকার গুলি পেতে নিয়মিত রোজা রাখুন।
রোজা রাখার শারীরিক উপকারিতা
রোজা রাখার শারীরিক উপকারিতা অনেক বেশি। যে সব ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন সমস্যা থাকে তারা নিয়মিত রোজা রাখতে পারেন। রোজা রাখার শারীরিক উপকারিতা হল
- জিহ্বা ও লালাগ্রন্থির বিশ্রামে খাদ্যদ্রব্যের স্বাদ বৃদ্ধি
- ইফতারের আমিষ, ভিটামিন, শ্বেতসার ও খনিজ লবণের পরিমাণ আশ্চর্যজনকভাবে পাবেন
- প্রায় ১৫ ঘণ্টা উপবাসের সময় লিভার, কিডনি ও মূত্রথলি প্রভৃতি অঙ্গ বেশ উপকারিতা লাভ করে
- রোজার ফলে অগ্ন্যাশয় থেকে হজমের রস দিনের বেলায় নির্গত বন্ধ থাকে বিধায় তা-ও একমাস বিশ্রাম পায়। ফলে অগ্ন্যাশয়ের কারণে বহুমূত্র রোগ উপশম পাবে
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা
চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা, চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, অসময়ে, অসম ভক্ষণ, হজম প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে । চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে একমত যে, শরীরের অধিকাংশ রোগ সৃষ্টি হয় অস্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণের কারণে।আশ্চর্যের বিষয় হল, এই রোগের উপসর্গ ও কারণগুলো নবীজী (সা.) বহু শতাব্দী পূর্বেই বলে গেছেন। তিনি বলেন, রোগের কেন্দ্রবিন্দু হল পেট, অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাস এড়িয়ে চলা রোগের আরোগ্যতা।
- পরিপাকতন্ত্র একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিশ্রাম পায়
- রোজার মাধ্যমে কালাজ্বর ও শরীরের অন্যান্য পুরাতন রোগ কোন মেডিসিন ছাড়াই ভালো হয়ে যায়
- রোজার মাধ্যমে মৃগী রোগ ও আলসারের চিকিত্সা করা যায়
- পেটের অসুখ, অজীর্ণ, বদহজম, গ্যাস্ট্রিকের চিকিত্সাও ভাল হয়
- রোযা রাখলে কিডনীতে সঞ্চিত পাথর কণা ও চুন দূরীভূত হয়।
- ডায়াবেটিকসের ঝুঁকি কমায়
- বার্ধক্যকে দূরে রাখে
বিজ্ঞানের মতে রোজার উপকারিতা
বিজ্ঞানের মতে রোজার উপকারিতা আজ প্রমানিত। আধুনিক বিজ্ঞান রোজা রাখার অনেক উপকারিতা তুলে ধরেছে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে
- অগ্ন্যাশয়ের কারণে বহুমূত্র রোগ উপশম পাবে
- ডায়াবেটিকসের ঝুঁকি কমায়
- গী রোগ ও আলসারের চিকিত্সা করা যায়
- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
- রোযা রাখলে কিডনীতে সঞ্চিত পাথর কণা ও চুন দূরীভূত হয়।
রোজা রাখার উপকারিতা ইসলাম
রোজা রাখার উপকারিতা ইসলাম এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম প্রত্যেক নর নারিদের জন্য রোজাকে ফরয করা হয়েছে। বিশ্বজগতের মহান চিকিৎসক হজরত মোহাম্মদ মুস্তফা (সা.) বলেছেন, প্রতিটি বস্তুর জাকাত আছে; শরীরের জাকাত রোজা। অতএব, আমাদের রোজা রাখা উচিত। রোজা ঢাল স্বরূপ। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই মাস। এই মাসে খাওয়া-দাওয়া, পানি পান করার সময় পুরোপুরিভাবে বদলে যাওয়ার জন্য শরীর অন্য পর্যায়ে চালিত হয়। রোজা রাখার উপকারিতা ইসলাম বিস্তারিত দেওয়া হল
- আল্লাহর হুকুম পালন
- ফরয পালন
- আখিরাতে মুক্তি লাভ
- ইসলামের বিধান পালন
- রমজান মাসে রোজা রাখা
- আখিরাতে জান্নাত লাভ
- ইসলামের পাচটি বিধান এর মধ্যে একটি বিধান পালন
ধন্যবাদ অনেক সুন্দর লিখেছেন।