Skip to content

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম বাংলাতে জানুন। ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার দোয়া

    ঈদের নামাজ ওয়াজিব। প্রতি বছর দুইটি ঈদ পালিত হয়। আজ ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের মাঝে এখনো অনেক আছে যারা পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম জানে না। কারন ঈদের নামাজ বছর ঘুরে আসে। সে জন্য অনেকে ঈদের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম মনে রাখতে পারে না।

    পছন্দের এলাকায় পার্টটাইম/ফুলটাইম চাকরি খুঁজে পেতে এই অ্যাপটি ইন্সটল করে এখনই আবেদন করুন

    মনেরা খবেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতো ঈদের নামাজ নয়। এজন্য ঈদের নামাজের সময় অনেকে ভুল করে ফেলে। আজ ঈদুল ফিতরের নিয়ত ও নিয়ম আপনাদের সুবিধার জন্য খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধবর।

    ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম

    ঈদ বছর ঘুরে আসে এই জন্য ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম ভুলে যায়। সেজন্য আপনাদের উচিত ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার যাবার আগে ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম দেখে নেওয়া।

    ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত (আরবি ভাষায়)

    নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকয়াতা সালাতি ঈদিল ফিতর, মায়া ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

    ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত (বাংলা ভাষায়)

    ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সঙ্গে আদায় করছি। আল্লাহু আকবর।

    ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়মঃ 

    1. ইদুল ফিতরের দুই রাকআত নামাজের নিয়ত করবেন।
    2. তাকবীরে-তাহ্‌রীমা আল্লাহ্‌ আকবর বলে হাত বাঁধবেন।
    3. হাত বাধার পর মনে মনে ছানা পড়বেন।
    4. এরপর তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ উচ্চারণ করে তাকবির বলতে হয়।
    5. এই তিনবারের প্রথম দুই বার কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু তৃতীয়বার বলার পর সবাই হাত বেঁধে নিতে হবে।
    6. এরপর নিয়ম অনুযায়ী আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতেহার পর একটি সূরা যুক্ত করেন ইমাম প্রথম রাকআত শেষ করবেন।
    7. স্বাভাবিক নামাজের মত রুকু ও সিজদা করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াতে হয়।
    8. দ্বিতীয় রাকাতে ফাতিহা ও সূরা পাঠ শেষে ইমাম যখন তাকবীর বলবেন, তার সঙ্গে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তাকবীরে হাত কান পর্যন্ত উঠাতে হবে এবং ছেড়ে দিতে হবে।
    9. আর চতুর্থবার তাকবীর বলে হাত না উঠিয়ে সোজা রুকুতে চলে যেতে হবে।
    10. বাকিটুকু যথা নিয়মে নামাজ শেষ করে খুতবা শুনে, দোয়া-মুনাজাত করে বাসা-বাড়িতে ফিরে যেতে হবে।
    11. ইদের নামাজের অতিরিক্ত তাকবিরে গড়মিল হলে, কম বা বেশি হলে সাহু সিজদার প্রয়োজন নেই।

    ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার দোয়া

    চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হিজরি মাস গণনা শুরু হয়। আরবি (হিজরি) মাসের নতুন চাঁদ দেখলে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া পড়তেন। শুধুমাত্র শাবান, রমজান বা শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখেই এ দোয়া পড়তে হবে এমন নয় বরং প্রত্যেক মাসের নতুন চাঁদ দেখলে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার দোয়া পড়া সুন্নাত।

    “আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-য়ুমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি- রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।”

    অর্থ : আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তাওফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)

    ঈদ উল ফিতর কত তারিখে বাংলাদেশ

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেনঃ kfsoft@yahoo.com যে কোন প্রয়োজনেঃ kfplanetbd@gmail.com