গাজীপুর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ গাজীপুর রমজানের ক্যালেন্ডার সুচি গবেষণা করে। এছাড়া কিছু ইসলামিক ইউনিভার্সিটি সকল তথ্য বিশ্লেষণ করে গণনার মাধ্যমে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি আমাদের সামনে উপস্থাপন করে।
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখা সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে ইসলামের আইনটি শিথিল করা হয়েছে যেমন, তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থ ব্যাক্তি, ভ্রমণকারী, বয়স্ক, গর্ভবতী, স্তন্যপান করানো মা, ডায়াবেটিস ঝুকিসম্পন্ন রোগী এর ক্ষেত্রে। সূর্যোদয় এর আগের খাবারটি সেহরি হিসাবে উল্লেখ করা হয় এবং সন্ধ্যায় মাগরিবের আযানের সময় সাওম বা রোজা ভেঙ্গে ফেলাকে ইফতার বলা হয়।
গাজীপুর রমজানের সময় সূচি ক্যালেন্ডার 2025
সঠিক ও পরিস্কার ছবিতে রমজানের সময় সূচি গাজীপুর ক্যালেন্ডারটি দেখতে পারবেন শুধুমাত্র KFPlanet ওয়েবসাইটে। আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রকাশিত ২০২৫ সালের গাজীপুর তে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচিও সংযুক্ত করবো। এছাড়া রমাযানের সাওম এর কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য, দোয়া জানানোর চেষ্টা করবো। গাজীপুর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ নিচে দেয়া হলোঃ
→ সকল জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫-রমজান ২০২৫ ক্যালেন্ডার দেখুন
আরবি সাল | ১৪৪৬ হিজরি |
ইংরেজি সাল | ২০২৫ |
কোন জেলার সময়সূচী | গাজীপুর জেলার |
সময়সূচি | সেহরি ও ইফতারের |
রমাযানের সাওম শুরু | ০২ মার্চ ২০২৫ |
রমাযানের সাওম শেষ | ৩১ মার্চ ২০২৫ (চাঁদ দেখার উপর) |
সুত্র | ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ |
গাজীপুর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫
Islamic foundation Gazipur sehri and iftar time Image pdf
https://islamicfoundation.gov.bd/sehri-o-iftarer-somoy.pdf
সেহরি ও ইফতারের গুরুত্বপূর্ণ সব জিজ্ঞাসা
সেহরি কতক্ষণ পর্যন্ত খাওয়া যায়?
খুব ভোরের সুবহে সাদিক পর্যন্ত সাহরি খাওয়া যায়। অর্থাৎ ফরজ সালাতের সময় শুরু হওয়া পর্যন্ত সেহরি করা যায়। তবে অধিকতর সেফ থাকার জন্য ফরজ সালাত শুরু হওয়ার ০৫ মিনিট আগেই সেহরি শেষ করা উচিৎ।
সেহরির সময় কখন শুরু হয়?
মূলত সেহরি সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে সেহরি খেতে হয়। এটিই সুন্নাত তবে সেহরির শেষ সময়ের ০১ ঘণ্টা আগে খানাপিনা করলেও সমস্যা নেই।
সেহরির নিয়ত আরবি বাংলা
রোজা রাখার নিয়তঃ নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিং শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আংতাস সামিউল আলিম।
বাংলাতে অনুবাদঃ হে আল্লাহ, আজকে পবিত্র রমজান মাসে তোমার পক্ষ থেকে ফরজ করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার রোজা কবুল করো, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
বাংলায় নিয়ত: হে আল্লাহ! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আমি পবিত্র রমজানের ফরজ রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার পক্ষ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত।
ইফতারের দোয়া ও নিয়ত
ইফতারের দোয়া উচ্চারণ: ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’
বাংলাতে অনুবাদঃ (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াব ও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)
ইফতারের বাংলা নিয়ত: হে আল্লাহ, আমি আপনার নির্দেশিত মাহে রমজানের ফরজ রোজা শেষে আপনারই নির্দেশিত আইন মেনে রোজার পরিসমাপ্তি করছি ও রহমতের আশা নিয়ে ইফতার শুরু করছি। তারপর ‘বিসমিল্লাহি ওয়াআলা বারাকাতিল্লাহ’ বলে ইফতার করা।