চুল মানুষের সৌন্দর্য্যের অন্যতম একটি অংশ। যার মাথায় যত ঘন এবং যত বড় চুল থাকে, তার কদর সবার কাছে তত বেশী। আর চুল না থাকার যন্ত্রনা শুধুমাত্র যার চুল নেই সেই বুঝে। সবার ক্ষেত্রেই চুল পড়ে যাওয়া একটি চিন্তার বিষয়। মাথায় যতই চুল থাকুক, চুল যাতে না পড়ে যায় সে চিন্তা সবাই করে।
আর যাদের মাথার চুল পড়ার পরিমান একটু বেশীই, তাদের তো এই চিন্তার শেষ নেই। জেনেটিক্স, হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন করা বা প্রাকৃতিক ভাবে বয়স্কতা প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে বিভিন্ন কারণে মহিলার চুল ক্ষতি হতে পারে।
মেয়েদের মাথার চুল পড়া রোধে করণীয় কি?
পেঁয়াজের রস চুল পড়া বন্ধে দারুন কাজ করে। চুলের গোঁড়ায় আমলকীর তেল দেয়া মেয়েদের মাথার চুল পড়া রোধ করে। রাতে মেথি বেটে চুলে লাগালে মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করতে পারে। আর অনেক থেকেই ডিমের কুসুম দিয়ে মহিলারা মাথার চুল পড়া বন্ধ করে থাকেন।
ধূমপান এড়িয়ে চলা, সূর্যের আলো সীমিত ব্যাবহার করা আপনার জন্য একান্ত করণীয়। নারকেল তেল, এসেনশিয়াল অয়েল, রোজমেরি অয়েল সঠিক নিয়মে নিয়মিত ব্যাবহারে আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে পারে। এছাড়া মেডিসিন ও থেরাপি ব্যাবহার করেও মেয়েদের মাথার চুল পড়া রোধ কর যায়। বিস্তারিত পাবেন নিচে।
চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
- নারকেল তেলঃ নারকেল তেলের সঙ্গে এক থেকে দু টেবিল চামচ (চুলের পরিমান অনুয়ায়ী) কাষ্টার্ড অয়েল মিশিয়ে চুলে ভালো ভাবে ম্যাসেজ করলে চুল পড়া কমে।
- পেয়াজঃ মাথায় যদি সামান্য টাক পড়ে যেতে লাগে, তাহলে একটি মাঝারি সাইজের পেয়াজ অর্ধেক করে কেটে টাক পড়ে যাওয়া জায়গায় ভালোভাবে ঘসতে হবে।
- কালমেঘঃ কালমেঘ পাতা বেঁটে রস করে সপ্তাহে দু’দিন মাথায় লাগালে মাথা ঠান্ডা থাকে, মাথার চুল কাল হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- এলোভেরাঃ যাদের মাথা গরম হয়ে যাবার সমস্যা আছে তাদের জন্য বড় চিন্তার বিষয় হচ্ছে মাথা গরম হলে চুল পড়ে। এক্ষেত্রে এলোভেরা পাতার ভিতরের নির্যাস বের করে ভালোভাবে ফেটে মাথার তালুতে লাগালে মাথা ঠান্ডা থাকে এবং চুল পড়া কমে যায়।
- আমলকিঃ প্রতিদিন ২০-২৫গ্রাম পাকা আমলকি খেলে চুল পড়া এবং চুল পাকা সমস্যা প্রশমিত হয়।
- বেদানা/ডালিমঃ বেদানার পাতা, খোসা এবং দানা একসাথে বেঁটে তাতে সরিষার তেল দিয়ে হালকা আঁচে গরম করুন। গরম তেল ঠান্ডা করে ছেঁকে বোতলে রেখে দিন। প্রতিদিন দু’ থেকে তিন বার এ তেল মাথায় ম্যাসেজ করলে টাক সমস্যার সমাধান হয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- ধনে পাতাঃ সজীব ধনে পাতা বেঁটে তার রস বের করে চুলের গোড়ায় মালিশ করলে চুল ঝলমলে, নরম, কালো হয়। আর সাথে সাথে চুল পড়া বন্ধ হয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- স্বর্ণ লতাঃ স্বর্ণ লতা বেঁটে রস করে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথায় ম্যাসেজ করে ১০-১৫ মিনিট রেখে স্যাম্পু করলে চুল পড়া কমে এবং চুল ঘন হয়। কিন্তু যাদের এলার্জির সমস্যা আছে, তারা এটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করবেন।
➩➩ মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় (দ্রুত ওজন কমিয়ে ফেলুন)
মেয়েদের মাথার চুল পড়া রোধে চিকিৎসা
১। মাইনোক্সিডিলঃ খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন চুল পড়ার চিকিত্সার জন্য মিনোক্সিডিলকে অনুমোদন দিয়েছে। রোগাইন নামে তেমনি অন্যান্য জেনেরিক ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি হয়, লোকেরা টপিকাল মিনোক্সিডিলকে কিনতে পারে। মিনোক্সিডিল পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যই নিরাপদ এবং লোকে এটি ব্যবহারের পরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
মিনোক্সিডিল চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং তাদের বৃদ্ধি চক্র বাড়িয়ে তুলতে পারে। চুলকে ঘন করতে, চুল ফাটা কমাতে পারে।
২। হেয়ার থেরাপিঃ হেয়ার থেরাপি যেমন লেজার হেয়ার খেরাপি, রেড লাইট হেয়ার থেরাপি, কোল্ড লেজার হেয়ার থেরাপি, লো-লেভেল হেয়ার লেজার থেরাপি এগুলা আধুনিক আবিষ্কার। লেজার হেয়ার থেরাপি দিন দিন পপুলার হচ্ছে। লেজার হেয়ার থেরাপি আপনার চুলের গোড়া শক্ত করে, অতিরিক্ত চুল পড়া কমায়, চুলকে মোটা ও সুন্দর করে।
৩। পিআরপি (প্লাটিলেট-রিচ প্লাজমা) থেরাপিঃ পিআরপি থেরাপির আরেক নাম প্লাজমা রিচ প্রোটিন থেরাপি। প্লাজমা সমৃদ্ধ রক্তের অংশ সিরিঞ্জের মাধ্যমে পড়ে যাওয়া চুলের গোঁড়ায় পুশ করা হয়। সাধারণত প্রথম তিন মাস চিকিৎসাতে মাসে ০১ বার করে ০৩ বার দেয়া হয়। এরপর ০৪ মাস পর পর পিআরপি থেরাপি দেয়া হয়।
🔎 শিক্ষা,চাকরি,লাইফ স্টাইল, স্বাস্থ্য বিষয়ক খবর সহ সকল টিপস পেতে
KFPlanet ফেসবুক পেজ 📰 Gᴏᴏɢʟᴇ Nᴇᴡs ➣টেলিগ্রাম চ্যানেল ফলো করুন 👉 Youtube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন। যে কোন সার্কুলার ডাউনলোড করতে আমাদের Mobile APP ইন্সটল করুন।
অতিরিক্ত চুল ঝরে যাচ্ছে, চুল পড়ার স্থায়ী সমাধাণ কি? অতিরিক্ত চুল ঝরা বন্ধ করতে করণীয় কি??
আপনি ট্রাইকোলজিস্ট খোঁজ করুন, আধুনিক উপায়ে তিনি চিকিৎসা করবেন। এছাড়া আমাদের পয়েন্টগুলা দেখুন।