মোটা মানুষ খুব অল্প সময়ে নিজেকে চিকন বা স্বাভাবিক ওজনে দেখতে চায়। মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় নিয়ে বিশদ আলোচনা থাকবে আমাদের পোস্টে। যেহেতু দ্রুত সময়ে মেয়েরা নিজের ওজন কমাতে চায় সেহেতু তাকে অবশ্যই কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
একটি মেয়েকে দ্রুত ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই কিছু তালিকা ও নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলেই অল্প সময়ে সে তার স্বাভাবিক ওজনে ফিরে আসতে পারবে ।ওজন বৃদ্ধির জন্য খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে জীবনযাপনের বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যারা নিজেকে স্লিম ও স্বাভাবিক ওজনে দেখতে চায় তাদের জন্য উক্ত নিয়ম গুলো মেনে চলতে কঠিন হতে পারে।
মেয়েদের ওজন কমানোর উপায়
সর্বপ্রথম পরিকল্পনা করতে হবে খাবারের তালিকার ও অন্যান্য বিষয়ের জন্য এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে হবে। ওজন কমাতে চাইলে এর সহজ উপায় হল ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমানো যাতে পরবর্তীতে কোন সমস্যার সম্মুখিন হতে না হয়।
একজন মেয়ের জন্য অধিক ওজন অনেক কষ্টকর, বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে বা যেকোনো ক্ষেত্রে। ওজন কমাতে বেশ কিছু ডায়েট পরিকল্পনার তালিকা রয়েছে। খুব সহজে স্বাস্থ্যকর উপায়ে মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত নিচের লিস্টে দেয়া হলো।
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় স্টেপ বাই স্টেপ
১। শর্করা জাতীয় খাবার কম খাওয়াঃ
প্রথমে আপনাকে শর্করা জাতীয় খাবার যথা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। প্রথম দিকে বেশি বেশি ফল খেতে হবে। যখনই খেতে মন চাইবে ফল থেকে হবে। তবে একসাথে অনেক ফল খাওয়া যাবে না। প্রতিবার অল্প অল্প করে খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু ডায়েট এর প্রথম দিকে কলা না খাওয়াই ভালো। কলা বাদে যেকোনো ফল খেতে পারবেন পরিমিত।
যেসকল ফলে পানির পরিমাণ বেশি সেই ফল খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। এর ফলে পেট দীর্ঘ সময় ধরে ভরা থাকে।পানি জাতীয় ফল খাওয়ার ফলে পানির ঘাটতি করা যাবে না প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে। যখন ই ক্ষুধা লাগবে ফল খেতে হবে। কেননা ডায়েট চলাকালীন পেট খালি রাখলে হিতে বিপরীত হতে পারে অর্থাৎ শরীর দুর্বল হয়ে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২। সকাল শুরু করুন পুষ্টিকর খাবার দিয়েঃ
ডায়েটের দিন গুলোতে বিশেষ করে প্রথম দিকে নাস্তায় কোন ভারী খাবার অর্থাৎ ভাত, ন্যুডলস ইত্যাদি রাখা যাবে না। ফল খেতে হবে পাশাপাশি ডিম খেতে হবে। ডিমের পুষ্টি উপাদান গুলো আপনার শরীরকে শক্তি দিবে।
সকালের নাস্তায় ডিম, টোস্ট ফল রাখতে পারেন। দুপুরের খাবারে ডিম, শাঁক-সবজি সিদ্ধ। রাতের খাবার অবশ্যই হালকা হতে হবে। ১কাপ শসা বা গাজর খেতে হবে, পাশাপাশি ফল খেতে হবে যাতে পেট বেশ সময় ধরে ভরা থাকে।
৩। পরিমিত শাকসবজি ও ফলমূল খানঃ
প্রতিদিনের খাবারে ফলের পাশাপাশি পরিমিত শাকসবজি রাখুন। কয়েক দিন পর ফলের পরিমাণ কম রাখুন, সবজি বেশি খাবেন। আপনি সবজি যেকোনো ভাবে খেতে পারেন কাঁচা বা রান্না করে এইটা সম্পূর্ণ আপনার পছন্দ তবে তেল মসলা যথাসম্ভব কম দিতে হবে, অথবা না দেওয়াই শ্রেয়। কেননা তেল মসলা বেশি ব্যাবহার করলে ওজণ কম হওয়ার বদলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি।
তাই অতিরিক্ত মসলা ব্যাবহার না করে আধা সিদ্ধ করে বা নিজের পছন্দ মত রান্না করে খেতে পারেন।ডায়েট চলা কালীন আলু না খাওয়াই ভালো। আলু বাদে বিভিন্ন সবজি রাখতে পারেন যেমন- বাঁধাকপি, শিম, ব্রকলি, শসা, গাজর, লাউ ইত্যাদি।
৪। প্রতিদিন রুটিন মাপিক ব্যায়াম বা পরিশ্রম করুনঃ
প্রতিদিনের খাবের পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট সকালে হাঁটতে হবে। যাতে শরীরে থাকা চর্বি কমতে থাকে।দীর্ঘ সময় শুয়ে বা বসে থাকা যাবে না।
নিজের দৈনন্দিন কাজের একটা তালিকা তৈরি করতে হবে যাতে নিজেকে কায়িক শ্রমে ব্যস্ত রাখা যায়। এর ফলে ডায়েট এর পাশাপাশি শরীরের জমে থাকা মেদ কমতে থাকবে।
৫। মাছ রাখুন খাবার টেবিলেঃ
ডায়েটের সময় অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে যে শরীর যেন দুর্বল হয়ে না যায়।দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকা যাবে না। বিভিন্ন সবজি খাওয়ার পাশাপাশি মাছ খেতে হবে বিশেষ করে টুনা মাছ, পুঁটি মাছ ইত্যাদি যেসকল মাছে ফ্যাট কম।
৬। ফাস্ট ফুড যতদুর সম্ভব এড়িয়ে চলুনঃ
ফাস্ট ফুড ডায়েট চলা কালীন খাওয়া যাবে না। তাছাড়া ফাস্ট ফুড একদম না খাওয়াই ভালো কেননা জাংক ফুড বা ফাস্ট ফুড শরীরে মেদ বা চর্বি জমায়। যার ফলে আপনার ওজন দিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। সকল কৃত্রিম ফলের রস, কোমল পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
উপরোক্ত নিয়মাবলী অনুসরণ করে , মাত্র ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে আপনি স্বাভাবিক ওজনে ফিরে আসবেন। উক্ত তালিকা মেনে চলার ফলে চেহারায়ও আসবে উজ্জ্বলতা। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে আপনি নিজের পরিবর্তন নিজেই লক্ষ করতে পারবেন।
মহিলাদের আদর্শ ওজন কত?
উত্তরঃ ০৫ ফুট থেকে ০৬ ফুট পর্যন্ত মহিলাদের ওজন ৪৫ থেকে ৭৭ পর্যন্ত হতে পারে।